হিন্দু মেয়েদের জীবন

#নারী
শরীর আমার---হলুদ তোমার নামের !
হাত আমার ---মেহেন্দি তোমার নামের !
মাথা আমার ---ঘোমটা তোমার নামের !
সিঁথি আমার ---সিঁদুর তোমার নামের !
কপাল আমার ---টিপ তোমার নামের !
নাক আমার ---নথ তোমার নামের !
গলা আমার ---মঙ্গল সুত্র তোমার নামের !
কবজি আমার ---শাঁখা-পলা তোমার নামের !
পা আমার ---নুপুর তোমার নামের !
পায়ের আঙুল আমার ---চুটকী তোমার নামের !
বড়দের চরণ বন্দনা আমি করি ---সধবার আশীর্বাদ তোমার নামের ! দশমীতে সিঁদুর ও ব্রত আমি করি ---ফল তোমার দীর্ঘ জীবি ! এমন কি কোল আমার ---
রক্ত আমার ---দুধ আমার ---সন্তান তোমার নামের ---
বাড়ির দরজায় নেম প্লেটও তোমার নামের ---
এমনকি আমার গোত্রও আমার নয় ---ওটাও তোমার নামের ! সব কিছু তো তোমার নামের,,,,,
তুমিই বল ---কি আছে তোমার কাছে ??? যা আমার নামের ---একটা মেয়ে শশুরবাড়ি চলে গেল---কালকের মেয়ে আজ সংসারের বৌ হয়ে গেল---কাল অব্দি বাড়ির আদরের মেয়ে---আজ শশুর বাড়ির সেবা করতে শিখে গেল ! কাল অব্দি টিশার্ট জিনস পরা মেয়ে, আজ শাড়ি পরা শিখে গেল ! বাপের বাড়ির চলমান "ঝর্না" আজ শশুর বাড়িতে দিঘী হয়ে গেল ! প্রতিদিন আনন্দে খরচ করা মেয়ে, আজ শাক সব্জীর দাম করতে শিখে গেল !
কাল পর্যন্ত ফুল স্পীডে স্কুটী চালানো মেয়ে, আজ বাইকের পেছনে বসা শিখে গেল ! কাল পর্যন্ত তিন বেলা খাবার খওয়া মেয়ে, আজ তিনবেলা রান্না করা শিখে গেল ! সবসময় জেদ করা মেয়ে, আজ স্বামীকে জিজ্ঞাসা করা শিখে গেল ! কাল পর্যন্ত যে মাকে দিয়ে সব কাজ করাত, আজ শাশুড়ি মার কাজ করতে শিখে গেল ! কাল পর্যন্ত ভাই-বোনের সঙ্গে ঝগড়া করা মেয়ে, আজ ননদ-দেওরের মান রাখতে শিখে গেল !
কাল পর্যন্ত বউদির সঙ্গে মজা করা মেয়ে, আজ জা এর মন রাখতে শিখে গেল !
বাবার চোখের জল,,,,,,শ্বশুরের গ্লাসের জল হয়ে গেল !
তখন লোকে বলে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়া শিখে গেল
এই বলিদান কেবল মাত্র একটি মেয়েই করতে পারে।।

সন্তানের জন্য লিখা...

সন্তানের জন্য বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি।ভালো লাগলে আপনার সন্তানদেরও পড়তে দিন।
——————-
প্রিয় সন্তান,

আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি...
১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।
৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো:

১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারন, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা।🌸

২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা। 🌸

3. জীবন সংক্ষিপ্ত।
আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। 🌸

৪. ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।🌸

৫. অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা-  এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।🌸

৬. আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। 🌸

৭. তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। 🌸

৮. আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না। 🌸

৯. তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি। 🌸

——————
ভালোবাসা সহ,
তোমার বাবা।

ICC rules

https://www.lords.org/mcc/laws-of-cricket/laws/law-39-stumped/

What to know about brain hypoxia.

Brain hypoxia is a form of hypoxia or oxygen deficiency affecting the brain. It occurs when the brain does not receive enough oxygen even though blood is still flowing. When oxygen supply is totally cut off, it is called brain anoxia.

Brain hypoxia is a medical emergency because the brain needs a constant supply of oxygen and nutrients to function properly.
There are several causes of brain hypoxia. They include drowning, suffocating, cardiac arrest, and stroke. Mild symptoms include memory loss and problems with motor function, such as movement. Severe cases can result in seizures and brain death.    The symptoms of a lack of oxygen to the brain, or brain hypoxia, may be mild or severe and depend on the level and duration of oxygen deprivation.

Mild symptoms of brain hypoxia include:

temporary loss of memory

problems moving parts of the body

#inattentiveness

#poor judgment

Brain cells can begin to die after just 5 minutes of oxygen loss. Symptoms become more dangerous the longer oxygen flow to the brain is cut off.

Severe symptoms of brain hypoxia include:

#coma

#seizure

#brain death

In cases of brain death, there is no brain activity. The pupils of the eyes do not respond to light and people cannot breathe without assistance from a life-support machine. However, the heart continues to pump blood around the body.

Benifits of activated charcoal:-short describe by Dr.Rajib Biswas(MBBS,FCPS,MD(C)

What are the benefits of activated charcoal?

By Dr.Rajib Biswas

Activated charcoal is a fine, odorless, black powder often used in emergency rooms to treat overdoses.Its toxin-absorbing properties have a wide range of medicinal and cosmetic uses, though none are scientifically proven.

Superheating natural sources of carbon, such as wood, produces activated charcoal.The black powder stops toxins from being absorbed in the stomach by binding to them.The body is unable to absorb charcoal, and so the toxins that bind to the charcoal leave the body in the feces.   Activated charcoal is not the same substance as that found in charcoal bricks or burnt pieces of food.

The manufacture of activated charcoal makes it extremely adsorbent, allowing it to bind to molecules, ions, or atoms. In this way, it removes these from dissolved substances.

Making activated charcoal involves heating carbon-rich materials, such as wood, peat, coconut shells, or sawdust, to very high temperatures.

This 'activation' process strips the charcoal of previously absorbed molecules and frees up bonding sites again. This process also reduces the size of the pores in the charcoal and makes more holes in each molecule, therefore, increasing its overall surface area.

As a result, one teaspoon full of activated charcoal has more surface area than a football field.

তেতুলের উপকারিতা

"তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায় কিংবা তেতুল মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর"  ডাক্তারদের মতে এ ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।।
জেনে নেই তেতুলের উপকারিতা:-
১: হৃদরোগের জন্য উপকারী।
২: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তনে রাখে।
৩: রক্তে কোলেস্টেরল কমায়।
৪: শরীরের মেদ কমায়।
৫: হজমে সহায়তা করে।
৬: পেটের বায়ু, হাত পা জ্বলায় তেতুলের শরবত অনেক উপকারী।
৭: তেতুল গাছের বাকল লাগালে ক্ষত সারে।
৮: বুক ধড়ফর করা, মাথা ঘোরানো রোগে তেতুল উপকারী।
৯: আমাশয়,কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার করে।
১০: পাকা তেতুল কাশি সারায়।
১১: তেতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ উঠা সারায়।7
১২: মুখে ঘা হলে তেতুলের পানিতে কুলি করলে উপকার পাওয়া যায়।
১৩: মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
১৪: ক্যান্সারের জন্য উপকারী।
১৫ তেতুলের সাথে রসুন খেলে রক্তের চর্বি কমে।
১৬: তেতুল খিদে বাড়ায় বমি বমি ভাব দূর করে।
১৭: তেতুলের পাতা ম্যালেরিয়া জ্বর সারায়।
১৮: শিশুদের পেটের কৃমি দূর করে।
১৯: বাত ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
______________________________

লিভারের জটিল রোগসমূহ, লক্ষণ ও চিকিৎসায় করণীয় নিয়ে ডাঃ রাজীব বিশ্বাস (MBBS,FCPS) বললেন:-

লিভারের জটিল রোগসমূহ, লক্ষণ ও চিকিৎসায় করণীয় নিয়ে ডাঃ রাজীব বিশ্বাস (MBBS,FCPS) বললেন:-

মানব দেহের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার (যকৃত)। দেহকে সুস্থ্য ভাবে কার্যক্ষম রাখার জন্য এই লিভারকে অনেক কাজ করতে হয় যেমন খাদ্য হজম করতে, গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ, ঔষুধ বা অন্যান্য রাসায়নিক নির্বিষকরণ, পিত্তরস উৎপাদন, রক্ত পরিস্রুত করণ ইত্যাদি। উল্লেখিত কাজ ছাড়াও লিভার দেহের আরও কিছু জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এক কথায় বলতে গেলে লিভার হলো মানব দেহের একটি পাওয়ার স্টেশন যার সুস্থতার উপর আমাদের দেহের অন্যান্য অনেক কিছুই নির্ভর করে।

লিভার সুস্থ্য রাখতে লিভারের জটিল রোগসমূহসম্পর্কে আমাদের সবার সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন কারন লিভারের রোগের লক্ষণাদি সহসাই প্রকাশ পায় না এমন কি লিভারের এগারো ভাগের একভাগ অংশ ও যদি ভালো থাকে তবে সে অবস্থাতেও লিভারের রোগ প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই আমাদের খুব ভাল করে এর যত্ন, রোগ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। তাই এর গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের দেশে যে সব লিভারের জটিল রোগ হয়ে থাকে সেই সব রোগ এর লক্ষণ, প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে কিছু বর্ননা করা হলো।

ভাইরাল হেপাটাইটিস:-
হেপাটাইটিস হলো লিভারে প্রদাহ, সাধারনত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস দ্ধারা স্বল্প মেয়াদী প্রদাহ কে ভাইরাল হেপাটাইটিস বলে। আমরা অনেকেই এই ধরনের রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাকে জন্ডিস বলি। দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ‘এ’ এবং ‘ই’ ভাইরাস ছড়ায় এবং স্বল্প মেয়াদী লিভার প্রদাহ করে থাকে।

ভাইরাল হেপাটাইটিস এর লক্ষণ
একিউট ভাইরাল হেপাটাইটিস বা স্বল্পমেয়াদী লিভার প্রদাহের প্রধান লক্ষণগুলো হলো— জন্ডিস, খাবারে অরুচি, উপরের পেটের ডান দিকে বা মাঝখানে ব্যথা, বমি বমি ভাব ও বমি, দুর্বলতা ও জ্বর।

ভাইরাল হেপাটাইটিস হলে করণীয়
রোগীকে হলুদ, মরিচ, তরিতরকারি, মাছ-মাংস ইত্যাদি স্বাভাবিক খাবার খেতে দিন। ফল, ডাবের পানি, আখের রস ইত্যাদি খাওয়াবেন না। ঘন ঘন গোসল করাবেন না। ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে যদি রোগের লক্ষণ ভালো না হয়, তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। রোগ ধরা পরার পর কেউ অস্থিরতা, অস্বাভাবিক আচরণ করলে বা অজ্ঞান হলে, এটা মারাত্মক জরুরি অবস্থা। তাকে অনতিবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

ক্রনিক হেপাটাইটিস:-
লিভারের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের ফলে যেসব রোগ হয়ে থাকে তাকে ক্রনিক হেপাটাইটিস বলে। হেপাটাইটিস বি, সি ও ডি ভাইরাস রক্ত কিংবা দূষিত সিরিঞ্জ বা সুচের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে হেপাটাইটিস ই-ভাইরাস রক্তের মাধ্যমেও ছড়ায়। বাংলাদেশে ক্রনিক হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস। রোগী প্রাথমিক অবস্থায় বুঝতেই পারেন না কখন তিনি বি অথবা সি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসাবিহীন থাকলে এই সংক্রমণ মাসের পর মাস লিভার এর ক্ষতি করে। এমনকি লিভার সিরোসিসে রূপ নেয় এবং পরে লিভার ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে। উল্লেখ্য, হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস আমাদের দেশে যথাক্রমে ৬০ ও ৩০ শতাংশ লিভার সিরোসিস এবং যথাক্রমে ৬৪ ও ১৭ শতাংশ হেপাটোসেলুলার কারসিনোমা বা লিভার ক্যান্সার এর জন্য দায়ী।

ক্রনিক হেপাটাইটিসের লক্ষণসমূহ:-
ক্রনিক ভাইরাল হেপাটাইটিস তথা দীর্ঘ মেয়াদী লিভার প্রদাহে ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় লিভারের কোষে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। ফলে কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ পাওয়া যায় না। কারও কারও ক্ষেত্রে দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ও পেটে হালকা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। রোগের লক্ষণ দেখে পরীক্ষা ছাড়া বোঝার উপায় নেই কোন ভাইরাস হয়েছে। কিন্তু যাদের ক্রনিক ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে লিভার সিরোসিস হয়ে যায় তাদের ক্ষুধামন্দা, পেটের অসুখ, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, জন্ডিস, পেটে পানি আসা ও চেতনালোপ জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয়।

ক্রনিক হেপাটাইটিস হলে করণীয় ও চিকিৎসা
এমতাবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে পরিক্ষা করাতে হবে যে এই ভাইরাসের প্রাণ HBV DNA বা HBeAg রক্তে বহমান কিনা? এবং তা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে পজেটিভ কিনা? ভাইরাসটা লিভারে সংক্রামিত হয়ে লিভারের ক্ষতি করে লিভার এনজায়েম ALT(SGPT) বাড়িয়ে দিয়েছে কিনা? যদি রোগীর রক্তে HBV DNA বা HBeAg ছয় মাসের বেশি সময় পরেও বিদ্যমান থাকে, রক্তে ALT (SGPT) দুই বা আড়াই গুণেরও বেশি থাকে তখন মানুষটি রোগী বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু ALT (SGPT) পরিমাণ যদি স্বাভাবিক থাকে, HBV DNA ও HBeAg নেগেটিভ থাকে তবে কিন্তু তিনি রোগী নন, HBsAg বহনকারী সুস্থ Carrier, তার চিকিৎসা অনাবশ্যক, তিনি এই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাহীন এবং এর প্রতিষেধকও নিতে পারবেন না।

লিভার সিরোসিস:-

লিভার সিরোসিস একটি মারাত্মক ও অনিরাময়যোগ্য রোগ। তবে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে লিভার সিরোসিস থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। এতে যকৃৎ বা লিভারের কোষকলা এমনভাবে ধ্বংস হয়ে যায় যে তা সম্পূর্ণ বিকৃত ও অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং প্রদাহ এর কারণে লিভারে ফাইব্রোসিস এবং নুডিউল বা গুটি গুটি জিনিস তৈরি হয় ফলে লিভার এর যেসব স্বাভাবিক কাজ আছে, যেমন বিপাক ক্রিয়া, পুষ্টি উপাদান সঞ্চয়, ওষুধ ও নানা রাসায়নিকের শোষণ, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরি ইত্যাদি কাজ ব্যাহত হয়। দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা। এ ছাড়া কিছু জন্মগত অসুখের কারণেও এই সমস্যা হয়ে থাকে যেমন, ওইলসন ডিজিজ, হেমোক্রোমেটাসিস ইত্যাদি। ধীরে ধীরে এই রোগ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তাই সকলের আগে থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।

লিভার সিরোসিসের লক্ষণ
প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়তে দেরি হয় তবে সাধারনত রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধার অস্বাভাবিকতা, যকৃতে বেশি পরিমাণে জৈব রসায়ন, বেশি বিলুরুবিন, কম সিরাম অ্যালবুমিন ইত্যাদি সমস্যা ধরা পড়তে পারে। সিরোসিস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম ও যকৃতের বায়োপসি করতে হয়। সাধারণত খাদ্যে অরুচি, ওজন হ্রাস, বমি ভাব বা বমি, বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত, শরীরে পানি আসা ইত্যাদি হলো মূল উপসর্গ। পরে যকৃতের অকার্যকারিতার সঙ্গে কিডনির অকার্যকারিতা, রক্তবমি, রক্তে আমিষ ও লবণের অসামঞ্জস্য ইত্যাদি জটিলতা দেখা দেয়।

লিভার সিরোসিস হলে করণীয় ও চিকিৎসা
লিভার সিরোসিস চিকিৎসার মূল বিষয় হচ্ছে প্রতিরোধ। যেসব কারণে লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে, বিশেষ করে হেপাটাইটিস বি-এর যেহেতু প্রতিশেধক আছে। তাই আমাদের উচিত প্রত্যেকেরই এই প্রতিশেধক নেওয়া। পাশাপাশি কিছু সচেতনতা জরুরি। দূষিত কোনো সূঁচ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা, কোনো দূষিত রক্ত পরিসঞ্চালন না করা পাশাপাশি সেলুনে সেভ করাসহ যেকোনো কাটাকাটি বা সেলাইয়ের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। রোগীদের কাছ থেকে সরাসরি এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় না।

সুস্থ জীবন যাপনের কিছু টিপস:-ডাঃরাজীব বিশ্বাস বললেন

সুস্থ জীবনযাপন কিছু টিপসদৈনিক ১টি অাপেল খান।
কোন ডাক্তার লাগবে না!
● দৈনিক ৫টি বাদাম খান।
কোন ক্যান্সারের অাশঙ্কা থাকবে না!
● দৈনিক ১ টি লেবু খান।
কোন ফ্যাট হবে না!
● দৈনিক ১ গ্লাস দুধ খান।
কোনও হাড়ের সমস্যা হবে না!
● দৈনিক ১২ গ্লাস জল খান।
কোন ত্বকের সমস্যা থাকবে না!
● দৈনিক ৪ টি খেজুর খান
কোন দুর্বলতা থাকবে না!
● দৈনিক ৩ বার প্রার্থনা, যোগ-ব্যায়াম করুন, কোন টেনশন, উত্তেজনা থাকবে না |
● দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমান।
খুশি মনে সতেজ অার অানন্দে জীবন যাপন করুন।

The neurons thst rewrite traumatic memories:- said Dr.Rajib Biswas (MBBS,FCPS)

The neurons that rewrite traumatic memories.
Summary:
Neuroscientists have located the cells that help reprogram long-lasting memories of traumatic experiences towards safety, a first in neuroscience. Memories of traumatic experiences can lead to mental health issues such as post-traumatic stress disorder (PTSD), which can destroy a person's life. It is currently estimated that almost a third of all people will suffer from fear- or stress-related disorders at one point in their lives. In the field of treating traumatic memories there has been a long-debated question of whether fear attenuation involves the suppression of the original memory trace of fear by a new memory trace of safety or the rewriting of the original fear trace towards safety. Part of the debate has to do with the fact that we still don't understand exactly how neurons store memories in general. Although they don't exclude suppression, the findings from this study show for the first time the importance of rewriting in treating traumatic memories.

Research in this area focuses on understanding the brain's capacity to reduce traumatic memories, but surprisingly few studies have investigated treatment options for attenuating long-lasting trauma (aka "remote fear") in animal models.

The EPFL scientists found that remote fear attenuation in the brain is connected to the activity of the same group of neurons that are also involved in storing these memories. Working with mice, the scientists have located these neurons in the brain's dentate gyrus, an area of the hippocampus that is involved in the encoding, recall, and the reduction of fear.

The mice used in the study are genetically modified to carry a "reporter" gene that produces an identifiable and measurable signal, e.g. a fluorescent protein, following neuronal activity. Using a fear-training exercise that produces long-lasting traumatic memories, the scientists first identified the subpopulation of neurons in the dentate gyrus that are involved in storing long-term traumatic memories.

The mice then underwent fear-reducing training, which resembles exposure-based therapy in humans -- the most efficient form of trauma therapy in humans today. Surprisingly, when the researchers looked again into the brain of the mice, some of the neurons active at recalling the traumatic memories were still active when the animals no longer showed fear. Importantly, the less the mice were scared, the more cells became reactivated. This was a first hint that the same population of neurons may be involved in storing and attenuating traumatic memories.

The researchers then reduced the excitability of the recall neurons during the exposure therapy and found that the mice showed poorer fear reduction compared to controls. But when they reduced the excitability of other neurons in the dentate gyrus, there was no such effect, showing that the recall neurons in the dentate gyrus are crucial for fear attenuation.

Finally, when the researchers enhanced the excitability of these recall neurons during the therapeutic intervention, they found that the mice showed improved fear reduction.

Epistaxis due to the sudden nose (nausea), due to the blood:-Dr.Rajib Biswas given a short description

Epistaxis due to the sudden nose (nausea), due to the blood: Someone has a sudden nose bleeding. Many are very afraid. Instead of getting scared, rather than holding the nose for a little while the rules generally stop bleeding. But the reason for bloodshed should be found. If you take proper treatment according to the reason, then you will not have the possibility of blood transfusions later. The nose has many blood vessels, which can occur in the membrane of the nose in such a way that bleeding may occur if there is a slight injury. Generally, the problem may be more difficult due to dry weather.

Can cause blood to flow through the nose for various reasons. The membrane membrane of the nostril is very thin and bleeding is also very bleeding due to slight injuries or other problems. But find out the reason should be treated properly.

Why the blood by the nose?

In any way, nasal or nasal infection, nose or sinusitis or nasal tumors; Infections, trauma, allergic rhinitis, non-allergic rhinitis, high blood pressure, drug abuse and some of the herbal remedies also increase the risk of getting blood from the nose. However, there are other symptoms in addition to blood transfusions in these cases. When the nose membrane becomes dry, it may naturally bleed from the nose when it is broken or there is a strong coat. If you take medicines to remove blood clots, you increase the risk of bleeding from your nose. Again, due to the reduction of blood clotting in the old age, blood flow through the nose.

What to do?

When the blood is nose, straight forward and lean towards the front and sit in the chair. Close the nose two holes with the fingers of the fingers and knees. Breathe through the mouth. So keep it for 10 minutes. Do not leave the finger at the time, if necessary, hold it with more long presses. If possible, hold the ice around the nose on the forehead, if possible. Then the blood will be stopped soon. If the blood continues for more than 15-20 minutes, do not delay but go to the adjacent nose of the ear throat section. Take a look at the doctor, even if the nose is stopped by the injury. It is necessary to see if the nostrils have broken or not. If you have repeated blood, go to the nose ear specialist.

Caution: -

Do not sleep while reading blood. It can lead to complex problems in the blood lungs. Do not clean the nose for several hours even after the blood is stopped, do not bring the heart down in the lower level of the heart. It may start to fall back to the blood again.

The nails of the children should be kept small and the practice of handing the nose to be abandoned. Petrol jelly can be used in front of the nostrils for dry nose so that it is not too dry.

কিছু টিপস যা হয়ত আপনাদের উপকারে আসবে।

কিছু টিপস যা হয়ত আপনাদের উপকারে আসবে।

১। চুলকানি জাতীয় চর্মরোগে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে গোসলের আধা ঘন্টা পূর্বে লাগালে ভাল হবে।
২)দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হলে আক্রান্ত স্থানে সামান্য হলুদ লাগিয়ে দিন।
৩)দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হলে বা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে জামের বিচি গুড়ো করে দাঁত মাজলে উপকার পাবেন
৪)ফোঁড়া হলে তা অনেক সময় না পেকে শক্ত দলার মত হয়ে যায়। কলমি শাকের কচি ডগা ও শিকড় একসঙ্গে বেটে ফোঁড়ার ওপর প্রলেপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিন। এতে ফোঁড়া পেকে যাবে।
৫)ঠোঁটের দু'পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়
৬)ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভাল হয়।
৭) অনেকের গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ হয়। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে গা মুছলে তা কমে
৮)কাশি হলে দুই টুকরো দারুচিনি, একটি এলাচি, ২টি তেজপাতা, ২টি লবঙ্গ ও সামান্য চিনি পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন; হালকা গরম অবস্থায় এই পানি খেলে কাশি ভাল হবে
৯)দই খুব ভাল এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে৷ এসিডিটির সমস্যা শুরু হওয়া মাত্র তা কয়েক চামচ খেয়ে নিন।
১০। গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে অর্ধেকটা লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে ফেলুন; কাঁটা নরম হয়ে নেমে যায়।
১১। শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
১২)জিভে বা মুখে সাদা ঘা হলে পানির সঙ্গে কর্পূর গুলে দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে নিন

Pelvic Inflamatory Disease:-Dr.Rajib Biswas given a short description

Pelvic Inflamatory Disease: -
PID or Pelvic Inflamatory Disease is one of the major inflammation of female reproductive or abdominal cortex. Most women suffer from this disease for a long time. The inflammation can be of two types - firstly, the inflammation of the lower part of the genital area. Second, inflammation of the upper part of the genitals

Reason:

Among the many causes of this disease are sexually transmitted diseases, such as gonorrhea and chlamydia infection. The husband may have sexually transmitted diseases In 60-70 percent of cases, PID is related to sexually transmitted diseases. PID can be transmitted to genital herpes infections. PID is due to drinking, drug addiction and multiple sexual intercourse. Among other reasons, it is possible to start sex life in early age, menstrual periods, unhealthy and inefficient abortion and delivering, not using condoms in vulnerable areas, after the operation of the female genitalia, it can cause inflammation after wearing a loop or copper.
Generally, women aged 14-25 are more susceptible to PID. The disease is more prevalent among illiterate and poor women because health awareness among them is very low.

Symptoms: -
Acute abdominal pain This pain can extend to the waist and the arm. Feeling heavy on the cervical Feeling severe pain while having sexual intercourse and with the uterus and cervix. The odorless white discharge or vaginal bleeding in the vagina There is an infection in the gland around the urinary tract or in Bartholin Gland, causing pain and irritation during urination. Additional bleeding may occur during menstrual period. The body may have fever all the time. Headaches, vomiting, stomach swallowing, dehydration and health can become lethargic.

Test: -

Blood tests need to be tested. Gonorrhea germs can be found if the cervical seizures are examined. If bowl sound is low, then the stomach X-ray may be needed. It is possible to diagnose disease more accurately if trans-vaginal ultrasrog and laparoscopy.
There are some problems, whose symptoms may seem like PID, such as acute appendicitis, acute inflammation of urinary tract, pregnancy outside the uterus, or octopic pregnancy, septic abortion or abortion. In this case, it is necessary to quickly diagnose the exact cause.
 
Medical: -

If you have symptoms of PID then you should consult a doctor. Appropriate antibiotics have to be treated with the correct application. If the condition is complicated then the patient will be treated in hospital if necessary. Tablet ot Flaxacin 400 mg for 14 days after eating 12 hours, eating tablets, metronidazol 400 mg for 12 hours and 14 days after eating. If it is seen that after three days of eating mouth medicines, symptoms of the patient are not being reduced or the condition of the patient is deteriorated, but the third generation should be applied in one hundred or so to 50 mg of dosexycline 100 mg of 12% of the cephalicosurin or injection cafeteria.
PID patients should be treated with appropriate antibiotics by examining patient's sexual intercourse and examining sexually transmitted diseases. If the partner is not properly treated, the patient will be attacked again.
Pregnant pregnancy should be hospitalized if the pid is pregnant and will be treated with injectable antibiotics immediately. If the pregnant is not properly and properly treated, then the mother and the child will suffer from various complications, and even the child may die.

পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ:-ডাঃরাজীব বিশ্বাস এটার একটা বিবরন দেন।

পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ:-
নারীদেহের প্রজননতন্ত্র বা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম।বেশির ভাগ মহিলাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন কষ্ট ভোগ করে।এ প্রদাহ দুই রকম হতে পারে- প্রথমত, জননাঙ্গের নিচের দিকের প্রদাহ।দ্বিতীয়ত, জননাঙ্গের ওপরের দিকের প্রদাহ।

কারণ:-

এ রোগের অনেকগুলো কারণের মধ্যে যৌন রোগ, যেমন- গনোরিয়া ও ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য।স্বামীর যদি যৌন রোগ থাকে তাহলেও হতে পারে।৬০-৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে পিআইডি যৌন রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত।জননাঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণুর সংক্রমণেও পিআইডি হতে পারে।মদপান, ড্রাগ আসক্তি ও একাধিক যৌনসঙ্গীর কারণে পিআইডি হয়ে থাকে।অন্যান্য কারণের মধ্যে অল্প বয়সে যৌনজীবন শুরু, মাসিকের সময় সহবাস, অস্বাস্থ্যকর ও অদক্ষভাবে গর্ভপাত করা এবং ডেলিভারি করানো, ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করা, স্ত্রী জননাঙ্গের কোনো অপারেশনের পর লুপ বা কপারটি পরানোর পর এ প্রদাহ হতে পারে।
সাধারণত ১৪-২৫ বছর বয়সের মহিলারা পিআইডিতে বেশি আক্রান্ত হয়।অশিক্ষিত ও দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি, কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই কম।

লক্ষণ:-
তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া।এ ব্যথা কোমর ও বাহুতে বিস্তার করতে পারে।তলপেট ভারী অনুভব করা।সহবাসে এবং জরায়ু ও জরায়ুমুখ স্পর্শ করলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা।যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব বা পুঁজ নির্গত হওয়া।মূত্রনালীর চারপাশের গ্রন্থিতে বা বারথোলিন গ্লান্ডে সংক্রমণ থাকে ফলে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা ও জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে।মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।শরীরে সব সময় জ্বর থাকতে পারে।মাথাব্যথা, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, খেতে অরুচি ও স্বাস্থ্য ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।

পরীক্ষা:-

রক্তের রুটিন পরীক্ষা করতে হবে।জরায়ুমুখের রস পরীক্ষা করলে গনোরিয়ার জীবাণু পাওয়া যেতে পারে।বাওল সাউন্ড কম থাকলে পেটের এক্স-রে করার প্রয়োজন হতে পারে।ট্রান্স ভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাম ও ল্যাপারোস্কপি করলে আরো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
কিছু কিছু সমস্যা আছে, যাদের লক্ষণ পিআইডির মতো মনে হতে পারে যেমন- একিউট এপেন্ডিসাইটিস, মূত্রনালীর তীব্র প্রদাহ, জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ বা অক্টোপিক প্রেগনেন্সি, সেপটিক অ্যাবরশন বা গর্ভপাত ইত্যাদি।এ ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে।
 
চিকিৎসা:-

পিআইডির লক্ষণগুলো দেখা গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগে চিকিৎসা করতে হবে।অবস্থা জটিল হলে প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হবে।মুখে খাওয়ার জন্য ট্যাবলেট ওফ্লক্সাসিন ৪০০ মিলিগ্রাম ১২ ঘণ্টা পরপর ১৪ দিন, এর সাথে ট্যাবলেট মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিলিগ্রাম ১২ ঘণ্টা পরপর ১৪ দিন খেতে হবে।যদি দেখা যায়- মুখে ওষুধ খাওয়ার তিন দিন পরও লক্ষণগুলো প্রশমিত হচ্ছে না বা রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে, তবে তৃতীয় জেনারেশন সেকালোস্পোরিন বা ইনজেকশন সেফটিয়াক্সন ২৫০ মিলিগ্রাম মাংসপেশিতে এককমাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে, তার সাথে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ১২ ঘণ্টা পরপর ১৪ দিন মুখে খেতে হবে।
পিআইডি রোগীর যৌনসঙ্গীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যৌন রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।যৌনসঙ্গীর সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগিণী আবার আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
গর্ভাবস্থায় পিআইডি হলে গর্ভবতীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি রেখে ইনজেক্টেবল অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে।গর্ভবতীর দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে মা ও শিশু নানা রকম জটিলতার শিকার হবে, এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।